বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কারিতাস উদ্যম প্রকল্পের উদ্যেগে ভেজাল খাদ্য বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, ভেজাল বিারোধী শ্লোগান লেখা ফেস্টুন, ক্যাপ পরিধান করে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে হামীম মডেল স্কুল, মোহাম্মদপুর ল্যাবরোটরী হাইস্কুল স্কুল, বসিলা প্রি-প্রারেটরি স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কারিতাস উদ্যম প্রকল্পের সামাজিক দলের সদস্য, নেটওর্য়াক ফোরাম এর সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কারিতাস উদ্যম প্রকল্পের ইনচার্জ ফরিদ আহাম্মদ খান, হামীম মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আলাউদ্দিন মিয়া, মোহাম্মদপুর ল্যাবরোটরী হাইস্কুল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: জামাল উদ্দিন, বসিলা প্রিপ্রারেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ মো: আনিস রহমান, আগস্টিন মিন্টু হালদার, মো: কবির হোসেন, রিচার্ড ডি’ সিলভা, মোস্তাক আহামেদ প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে মোহাম্মদপুর তিনরাস্তা মোড়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ফরিদ আহাম্মদ খান বলেন যে, সুস্থ্য জীবন যাপনের লক্ষ্যে ভেজালমুক্ত খাদ্যের বিকল্প নেই। ভেজাল খাদ্য স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। বাজারের ১০শতাংশ খাদ্য মানসম্পন্ন নয়। ভেজালখাদ্যের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
মো: আলাউদ্দিন বলেন যে, ভেজাল খাদ্য খেয়ে শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষ নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছে। তিনি বলেন, ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি পরিবার এবং সামাজিকভাবে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার জন্য আহবান করেন।
মো: পারভেজ বলেন যে, ভেজাল শব্দটাই নেতিবাচক। তা যদি খাদ্যের বেলায় হয়, তাহলে ভীতি সঞ্চার তৈরী হয়। খাদ্যে ভেজাল গোটা জাতিকে নীরবে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যারা খাবার তৈরীতে সম্পৃক্ত সেটা শিশুদেরই হোক আর বড়দেরই হোক তাদের নিরাপদ খাবার তৈরী সম্পর্কে তাদের জানতে হবে। জরুরী পুষ্টি উপাদান গুলো ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করতে হবে নির্দিষ্ট মাত্রায়। মোড়কে এগুলো উল্লেখ থাকতে হবে।
মো: জামাল উদ্দিন বলেন যে, খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা, ভেজালমুক্ত খাদ্য আমাদের ন্যায্য অধিকার।
বক্তরা বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা কি খাচ্ছে, কতটা নিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ খাবার খাচ্ছে তা দেখা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। অপুষ্টির পাশাপাশি আমাদের দেশে বেশী ওজনের পপুলেশন ও এর পরিণতিতে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি আমাদের জন্য ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে দায়িছে। এজন্য প্রশাসনকে নৈতিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। লোভের মাত্রা কমাতে হবে ব্যবসায়ীদের। সব শ্রেণীর মানুষের লোভ ত্যাগ এবং ব্যবসায়ীদের ভালো মানসিকতাই পারে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ করতে। ভেজাল খাদ্যের কারণে মানুষ ছাড়াও জীব বৈচিত্র ধবংস হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরালো করা এবং এ ব্যাপারে কৃষি, খাদ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ভূমিকা পালন করারও অনুরোধ জানান বক্তারা।