মহাসড়কের পাশে স্কুল, ফুটওভার ব্রিজ নেই, ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা
মহাসড়কের পাশে স্কুল, ফুটওভার ব্রিজ নেই, ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

বিশেষ সংবাদ

 কবিরপুরে মহাসড়কের পাশে অবস্থিত তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্পিডব্রেকার ও ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয় প্রতিনিয়ত। মূলত রাস্তা পার হতে গিয়ে বিগত কয়েক বছরে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ ফুটে উঠেছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কবিরপুর বাস স্ট্যান্ড হইতে ১ কিলোমিটার রাস্তার পার্শ্বে প্রায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অঞ্জনা মডেল হাই স্কুল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এর পাশেই রয়েছে কবিরপুর রেডিও কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অপর পাশে রয়েছে গোলাম নবী হাফিজিয়া মাদ্রাসা। মূলত এসমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া সকল ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা পার হতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। 

শুধুই যে ছাত্র-ছাত্রী রাস্তা পারাপার হয় তা নয় এই এলাকায় রয়েছে কয়েকটি পোশাক কারখানা যার অবস্থান মহাসড়কের পাশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাস্তা পার হয়ে কর্মস্থলে যাওয়া অথবা কর্মস্থল হতে বাসায় আসার ঠিক অই মুহূর্তে নিতে হয় জীবনের ঝুঁকি। 

স্থানীয়দের অভিযোগ বেশ কিছুদিন আগে কবিরপুর বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা পার হতে গিয়ে ঝরে যায় কয়েকটি তাজা প্রাণ। এই করুন মৃত্যুর শিকার হয়েছে শিশু, বৃদ্ধা এবং বয়স্ক নারী। স্বজন হারানোর পরিবারের দাবি খুব দ্রুত এখানে যেন একটা ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হয় জাতে আর কোন মায়ের কোল খালি না হয়।

এই মহাসড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার দূরপাল্লার যানবাহন এবং আভ্যন্তরিত যানবাহনগুলো দ্রুত গতিতে চলাচল করে। ফলে প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ অনেকের।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিনিয়ত স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ শ্রমজীবী মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হয় রাস্তা আর ঠিক তখনি শুনতে হয় শোকের সংবাদ কাজেই সবদিক বিবেচনা করে এইখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ এবং স্প্রিড ব্রেকার নির্মানের জোড় দাবি করেন তারা।


অভিভাবকরা বলেন, বিদ্যালয় মহাসড়ক সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পার্শে অবস্থিত। ফলে সড়কের পশ্চিম এলাকার শিক্ষার্থীরা সড়ক পার হয়ে স্কুলে আসতে হয় পূর্ব পার্শে ঠিক তখনি সন্তানকে ঘিরে আতঙ্কে থাকতে হয় পরিবারের।

এ ব্যাপারে অঞ্জনা মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মহাসড়ক অথবা আঞ্চলিক সড়কের পাশে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে খুব সতর্কতার সাথে রাস্তা পার হতে হয়। অনেক সময় তাদেরকে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায়। তাই সরকার যদি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে স্পিডব্রেকার অথবা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করে তবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিরাপদে সড়ক পার হতে পারতো বলে মনে করেন তিনি।


  • Tags

সর্বশেষ সংবাদ

এই বিভাগের আরও খবর