নামী-দামী কাপর তৈরি করেও যাদের শেষ ভরসা ফুটপাত
বলিভদ্র বাজার,আশুলিয়া

স্থানীয় সংবাদ

যাদের হাতে দিয়ে বি শ্বের নামী-দামী ব্রান্ডের কাপর তৈরি হয়। যাদের তৈরি কাপর বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে যায়। তাদের ও তাদের পরিবারের পরিহিত কাপর কেনা কাটার শেষ ভরসার স্থল হয়ে দাড়ায় রাস্তার পাশের ফুটপাত।

বলছিলাম পোশাক আপাদের কথা। দিনভর কষ্ট করে পোশাক কারখানা বিভিন্ন ব্যান্ডের পোশাক তৈরি করে হাজারও শ্রমিক। আর তাদেরকেই পড়তে হয় ফুটপাতের নাম মাত্র মূল্যের পোশাক। শীত এসেছে, বিকাল নামলেই আশুলিয়ার বিভিন্ন ফুটপাতে দেখা মেলে পোশাক শ্রমিকদের। সেখানে তারা তাদের ও তাদের পরিবার জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে সরেজমিনে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, আশুলিয়ার শ্রীপুর, জিরানী বাজার, বলিভদ্র বাজার, বাইপাইল, পল্লীবিদ্যুৎ ও জামগড়া এলাকার ফুটপাতগুলোতে প্রচুর পরিমাণে রং বেরংয়ের শীতের কাপড় দিয়ে পসরা সাজিয়েছেন দোকানীরা।

মাকসুদা ও রুবি আক্তার কাজ করেন ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়া করণ এলাকা ডিইপিজেডের শান্তা ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানায়। তারা তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য কারখানা ছুটির পরপরই ফুটপাতে এসেছে শীতের পোশাক কিনতে। মাকসুদা আক্তার বলেন, এখন অনেক শীত পরেছে। ছেলে মেয়ে সহ সবার জন্য শীতের কাপর কিনতে এসেছি। আমরা তো আর মার্কেটে যেতে পারি না। মার্কেটে কাপরের অনেক দাম। তাই ফুটপাত থেকেই আমাদের কাপর কিনতে হয়৷ এসময় রুবি আক্তার বলেন, আমার ছেলে মেয়ের জন্য আমি সব সময়ই এই ফুট পাত থেকেই কেনা কাটা করি এখানে অনেক কম দামে জিনিসপত্র কেনা যায়।

যশোরের জাহানারা বেগম কাজ করেন লিলি ফ্যাশন নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায়। তিনিও কেনা-কাটা করতে এসেছেন ডিইপিজেড এর রাস্তার ধারে ফুটপাত বাজারে৷ জাহানা বেগম বলেন, আমি ইচ্ছা করলেই তো আর মার্কেটে কাপর কিনতে যেতে পারি না। আমি ও আমার স্বামী দুজনেই পোশাক কারখানায় কাজ করি। যে কয়টাকা বেতন পাই সেটা দিয়ে রুম ভাড়া, খাওয়া ও গাড়ি ভাড়া দিতেই চলে যায়। তাই ফুটপাতের কাপরই আমাদের ভাগ্যে রয়েছে। ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রেতা রফিকুল বলেন, ফুটপাতের দোকানগুলো মূলত দুপুরের পর খুলে বসতে হয়। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। ফুটপাতে দোকানদারীতে খরচ খুবই কম। তবে বিক্রি অনেক বেশী। অল্প দামে লোকজন ভাল ভাল পোশাক পাচ্ছে বিধায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেচা-বিক্রি অন্যান্য দোকানের থেকে বেশী। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে তাদের বিক্রি আরো বেড়ে যাবে বলেও জানান তারা।


  • Tags

সর্বশেষ সংবাদ

এই বিভাগের আরও খবর