কলকাতায় নতুন আতঙ্ক অ্যাডিনোভাইরাস
কলকাতায় নতুন আতঙ্ক অ্যাডিনোভাইরাস

বিদেশ সংবাদ

ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর-সর্দি-কাশি নতুন কিছু নয়। এ সময়ে নানা সংক্রমণজনিত রোগ দেখা যায়। তবে ভারতের কলকাতায় ‍শিশু হাসপাতালগুলোতে অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে রোগী ভর্তি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক বেড়েছে।

শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবহাওয়ার কারণে এ বছর কলকাতায় সর্দি-জ্বরে ভোগান্তি বেড়েছে। জ্বরে একবার অসুস্থ হলে ৭-১০ দিনের আগে দুর্বলতা কাটছে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি অ্যাডিনোভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

হাসপাতালের সাধারণ শয্যা ছাড়াও জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুরোগীর ভিড়ে উপচে পড়ছে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। কলকাতা ও জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের ভয়াবহ এই চিত্র কোভিড-পরবর্তী সময়ে নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে। পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিকু) শয্যারও শংকট দেখা দিয়েছে। ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে শিশুদের।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছে, জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি থাকা শিশুরোগীদের মধ্যে শতকরা ৯০ জনেরই শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ (রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন) দেখা যাচ্ছে। যাদের অধিকাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ আবার অ্যাডিনোভাইরাসের শিকার।

চিকিৎসকদের দাবি, ২০১৮-১৯ সালের পরে এই ভাইরাস নতুন করে ফিরে এল। শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এবছরের ভয়াবহতা বছর তিনেক আগের পরিস্থিতিকেও ছাপিয়ে গেছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতির কারণেই এমটি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনার কারণে শিশুরা দীর্ঘ সময়ে ঘরবন্দি থেকেছে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেছে তাদের।rolex kopior sverige

কলকাতা মেডিকেলের শিশুরোগ বিভাগের চিকিৎসক দিব্যেন্দু রায় চৌধুরী বলেন, অ্যাডিনোর প্রকোপ বেশি। ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের আইসিইউতে ১৪টি শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন। তাদের ১০ জন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত।

তবে বয়স্কেদেরও আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কম নয়। তাদের শ্বাসনালির উপরিভাগ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। তারা জ্বর ও দীর্ঘ দিন ধরে কাশিতে ভুগছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে ৫০০টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেগুলোর মধ্যে ৩২ শতাংশ অ্যাডিনোভাইরাস, ১২ শতাংশ রাইনো ও ১৩ শতাংশের ক্ষেত্রে প্যারা-ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।


  • Tags

সর্বশেষ সংবাদ

এই বিভাগের আরও খবর